ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

জুনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পথ উদ্বোধন হলেই উজ্জীবিত হবে গ্রামীন অর্থনীতি

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্ন্ধসঢ়;য়নে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীতে বালিয়াতলী পয়েন্টে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। চলছে সেতুর সৌন্দর্য়ের কাজ ও নদীর দুই পাড়ের এ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ। 


সড়কের মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন সড়কের ইট বিছানোর কাজ শেষ হলেই কিছুদিন পরই ফিতা কেটে উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা বালীয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার, ডাবলুগঞ্জ পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে এবং উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। খেয়ার কারনে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হয়। উজ্জীবিত হবে তেমনি গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে আসবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও কৃষিজাত পন্য সহজেই বাজারজাত করা সম্ভব হবে। দিনে এখান দিয়ে খেয়া নৌকায় পার হওয়া গেলে ও রাতে পারাপারের জন্য ঘন্টার পর


ঘন্টা খেয়াঘাটে বসে থাকতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় রোগী নিয়ে। খোয়াঘাটে দীর্ঘ যানজট দেখা দিচ্ছে প্রতিদিন। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পাচঁটি ইউনিয়নের লোকজন ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা-গঙামতি পর্যটকদের। একটি খেয়া ছাড়লে আরেকটি খেয়ার জন্য আধা ঘন্টায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সেতুটি উন্মুক্ত হলে ব্যবসায়ীদের পন্য পরিবহন সহজ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৩ সালের ১৯ নবেম্বর তিনি এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৮ সালের মধ্যে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জোয়ার ভাটার সমস্যা এবং মহামারি করোনার কারনে সেতুটির নির্মান


কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুত্রে জানা গেছে, ১২০ কোটি টাকা ব্যয় এ সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। ১৩টি স্প্যানের ওপর ফুটপাথসহ নয় দশমিক আট মিটার প্রস্থ হচ্ছে সেতুটি। ৬৭৭ মিটার দীর্ঘ সেতুর রয়েছে দুই পাড়ে পাঁচশ’ মিটার এ্যাপ্রোচ সড়ক। এছাড়া রজপাড়া থেকে পায়রা বন্দরের সঙ্গে নির্মিত ফোর লেন সড়ক থেকে সংযোগ সড়ক নির্মিত হচ্ছে বিকল্প সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়ক পর্যন্ত। পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কটির প্রস্থ থাকছে ৩৩ ফুট। পায়রা বন্দরগামী ফোর লেন হয়ে সংযোগ সড়ক গিয়ে মিলছে নজরুল ইসলাম সেতুর সঙ্গে। ৩৩ ফুট প্রস্থ সংযোগ সড়কটি নির্মাণে কালভার্টসহ ব্যয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এ সেতুর কলাপাড়ার ইটবাড়িয়া অংশে কলাপাড়া শহরের দিকে ৪০০ ফুট আর সিসি সড়ক করা হবে।


কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা তিন সেতু মাত্র ২১ কিমি পথে সমুদ্র সৈকতে যেতে তিনটি সেতু শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল পার হতে হয় এবং তিনটি সেতুর টোল ভাড়া দিতে বাড়তি খরচ। এখানে এক সেতু পার হয়ে যেতে পারবে কুয়াকাটা।


বাবলাতলা বাজার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীক জনাব হাজী মোঃ মাসুদ, হাজী সাইদুর রহমান (বাবুল) জানান, এ সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা সাগরপারের জনপথের ব্যবসায়ীকরা সেই সাথে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকা রাঙ্গাবালী পাঁচটি ইউনিয়নের লোকজন খুবই উপকৃত ও লাভবান হবে। আমরা সহজেই ইলিশমাছ,ধান, চাউল সহজে মোকামে পাঠাতে পারবো।


প্রকল্প পরিচালক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মো: রুহুল আমিন জানান, সেতুর নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে চলছে সেতুর সৌন্দর্য়ের কাজ ও নদীর দুই পাড়ের এ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ। সড়কের মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন সড়কের ইট বিছানোর কাজ শেষ হলেই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

ads

Our Facebook Page